আমজাদ হোসেনের পতাকা দেখতে মাগুরায় জার্মান রাষ্ট্রদূত

অবশেষে আয়ুর্বেদিক এক চিকিৎসকের পরামর্শে জার্মানের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের পর আমজাদ সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর থেকে তিনি জার্মানির প্রতি আসক্ত এবং একপর্যায়ে জার্মান ফুটবল দলের ভক্ত হয়ে যান।

মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আমজাদ হোসেন তার সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পতাকা প্রদর্শন করেন। তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের কূটনীতিক কারেন উইজোরা এবং শিক্ষা সংস্কৃতিক কর্মকর্তা তামারা কবির।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট হাসান সিরাজ সুজা, স্থানীয় চাউলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান ও জার্মান ফ্যান গ্রুপের সাইফুল ইসলাম কৌশিক।

জার্মান দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, তারা আমজাদের এই ফুটবল ও জার্মান দল প্রীতিতে মুগ্ধ। তাদের জানা মতে জার্মানির ফুটবল দলের সমর্থনে সারাবিশ্বে তৈরি করা পতাকার মধ্যে এটাই সবচেয়ে দীর্ঘ।

আমজাদ অনুষ্ঠানে জানান, এই পতাকা অভিযান চলবেই। এই বছর বিশ্বকাপে জার্মান চ্যাম্পিয়ন হলে ২০২২ সালের বিশ্বকাপে ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ পতাকা বানাবেন তিনি, যা মাগুরা ভায়না থেকে

সীমাখালী পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে। সাড়ে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পতাকা তৈরি করতে ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এজন্য তিনি ১০ শতক জমি বিক্রি করেছেন। তবে টাকা খরচের বিষয় নিয়ে তিনি

মোটেই চিন্তিত নন। জার্মানি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলে বরং আরও বেশি টাকা খরচ করে জমকালো অনুষ্ঠান করবেন। তার পতাকা তৈরির বিষয়টি বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন এক পরিচয়ে পরিচিত করছে। আর তা হচ্ছে এদেশের মানুষের ফুটবল প্রেম।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে নিজের ৩০ শতক জমি বিক্রির আড়াই লাখ টাকা দিয়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ জার্মানির পতাকা তৈরি করেন আমজাদ।