ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

এক রশিদের কাছেই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ০৮ ১৩:৫০:০১
এক রশিদের কাছেই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

মূল শহরের খানিক বাইরের একটা হোটেলে উঠেছিল বাংলাদেশ দল। সাথে আফগানিস্তান দলও। হোটেলেই ঝড়, বৃষ্টি উপভোগ করেছিল দুই দল। কয়েকদিন বাদেই যে দুই দল এক মঞ্চে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই করবে, সেই দুই দলের খুনসুটি ছিল দেখার মতো। কিন্তু কোথায় যেন একটা ভয় ছিল বাংলাদেশ শিবিরে! কোন ভয়, সেটা কারও অজানা নয়।

রশিদ খান ‘ভয়’। রশিদ-জুজুতেই শেষ বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজ। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছে সবকটিতে। আফগানিস্তান যে বাংলাদেশের ওপর ঝড় তুলেছে, তা ওই প্রলয়ংকারী ঝড়ের থেকে কম নয়। আর ওই প্রলয়ংকারী ঝড়ের নাম রশিদ খানই। তিন ম্যাচে ৮ উইকেট। তাতেই কুপোকাত। দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া এ লেগ স্পিনার তাইতো পেয়েছেন সিরিজ সেরা পুরস্কারও।

আইপিএল শেষে দেশে ফিরে সাকিব বিমানবন্দরে রশিদ খানকে নিয়ে আলোচনা এবং প্রশ্ন করায় বিরক্ত হয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘রশিদ খানকে নিয়ে প্রশ্ন আপনারা করলে আলোচনা হবেই। আমি উত্তর দিচ্ছি না, আশা করি আর আলোচনা হবে না।’ সেই সাকিবই তিন ম্যাচ সিরিজের পর সোজাসাপ্টা বলেন, ‘ওদের বিশ্বমানের স্পিনার আছে। যারা ওদের কাজটা ঠিকমতো করতে জানে।’

আর মুশফিকুর রহিম তো সরাসরি বলেই দিয়েছেন, ‘ওকে খেলা কঠিন।’ বলার অপেক্ষা রাখে না একজন রশিদ খানেই পুড়েছে বাংলাদেশ। তার পরিসংখ্যানও বলছে একই কথা। ৩ ম্যাচে ১১ ওভারে ৪৯ রানে ৮ উইকেট নিয়েছেন এ লেগ স্পিনার।

রশিদে এলোমেলো হলেও পুরো বাংলাদেশকেই এ সিরিজে অগোছালো মনে হয়েছে। পরিকল্পনা, শারীরিক ভাষা এবং মাঠের পারফরম্যান্সই বলছে আত্মবিশ্বাস এবং তাড়না দুটোরই কমতি ছিল ক্রিকেটারদের। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও বলেছেন একই কথা, ‘আসলে এটা খুব হতাশাজনক (শরীরী ভাষা)। এখানে কেমন যেন লাগছে ওদেরকে। বাংলাদেশ দল মনেই হচ্ছে না, আমার কাছে মনেই হচ্ছে না।’

র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের থেকে আফগানিস্তান দুই ধাপ এগিয়ে। টি-টোয়েন্টি খেলাটা বাংলাদেশের থেকে আফগানিস্তান যে ভালোভাবে রপ্ত করেছে, তা এ সিরিজ দিয়েই স্পষ্ট হয়েছে। ১২ রেটিং পয়েন্টে এগিয়ে থাকা দলটির সঙ্গে তিন ম্যাচ হারের পর সেই ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ পয়েন্টে।

পুরো সিরিজে রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, মোহাম্মদ শাহজাদদের শাসনে তটস্থ থাকল সাকিব আল হাসানের দল। তার অধিনায়কত্বের ধরনেও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। শেষ ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হারে কিছু স্বস্তি দিলেও তা কষ্ট বাড়িয়েছে। ১ রানের হার তো বাংলাদেশের নিত্যসঙ্গী!

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে ওদের ডেরায় পেয়েও হারাতে পারেনি মাত্র ১ রানের জন্য। এবার ১ রানের হারে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লজ্জাটা পেল সাকিবের দল। বাংলাদেশের বাজে পারফরম্যান্সে স্পষ্ট হয়েছে আফগানদের শ্রেষ্ঠত্ব। তিন ম্যাচের তিনটি জিতেই তারা প্রমাণ করেছে তারা হতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি। কোনো অঘটন নয়, তাদের পারফরম্যান্সের পুরোটাই ছিল বাস্তবতা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে