ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

যেভাবে মিলেছে হুমায়ূন আহমেদের ‘নিনাদের’ লাশ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ১৯ ১৭:৫০:২৮
যেভাবে মিলেছে হুমায়ূন আহমেদের ‘নিনাদের’ লাশ

ঈদের দিন শনিবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া এলাকা থেকে নিনাদ নামের আট বছরের এক শিশুর লাশ মেলে কেক-পাউরুটি বিক্রির ভ্যানগাড়ির ভেতরে। তার গলায় শক্ত পলিথিন পেঁচিয়ে একটি হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা ছিল।

পরিবারের সদস্যরা জানান, নিনাদকে মা-বাবাই গোসল করিয়ে দিতেন। কিন্তু ঈদের আগের দিন রাত ৯টার দিকে সে নিজেই গোসল করে। আগে মামার আনা আর্জেন্টিনা দলের জার্সি পরা ছিল। গোসলের পর লাল গেঞ্জি পরে খেলার কথা বলে বের হয় বাসা থেকে। সাড়ে ৯টার দিকে পরিবারের লোকজন কোথাও তাকে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়। সাড়ে ১০টার দিকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর সকাল থেকে চলে আবার খোঁজ। জিডি করা হয় খিলগাঁও থানায়।

নিনাদের বাসা থেকে দু-তিনটি বাড়ি পড় একটি ফাঁকা জায়গায় দাঁড় করানো ছিল তিনটি তালাবদ্ধ ভ্যানগাড়ি। খোঁজার সময় পাশ দিয়ে গেলেও কারোরই মাথায় আসেনি ভেতরে লাশ থাকতে পারে। ঈদের দিন দুপুর দেড়টার দিকে এক শিশু ওই ভ্যানগাড়ির পাশে খেলা করছিল। ভ্যানগাড়ির দরজার ফাঁক দিয়ে তার চোখে পড়ে একটি পা। বিষয়টি সে বড়দের জানায়। সবাই গিয়ে তালা ভেঙে দেখে লাল গেঞ্জি পরা শিশু নিনাদকে গলায় শক্ত পলিথিন পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তখনো বাঁ পায়ে স্যান্ডেল পরা ছিল। ডান পায়ের স্যান্ডেলটি পড়ে ছিল পাশেই। মুখ থেকে বের হচ্ছিল রক্ত।

নিনাদের মামা একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক এস এম মুন্না জানান, নিনাদ খিলগাঁওয়ের ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা হচ্ছিল, তখন নিনাদের বয়স ছিল চার বছর। আর্জেন্টিনার খেলার দিন সেও দলটির জার্সি চায়। তখন থেকেই মুন্না চিন্তা করে রাখেন পরের বিশ্বকাপে তিনি প্রিয় ভাগ্নেকে আর্জেন্টিনার জার্সি কিনে দেবেন। গত মঙ্গলবার তিনি গুলিস্তান গিয়ে আর্জেন্টিনার কয়েকটি জার্সি কিনে আনেন। সেই জার্সি পরে উল্লসিত নিনাদ মামার সঙ্গে ছবি তোলে। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, সব দিক মাথায় নিয়ে মামলাটি তদন্ত করা হয়েছে। শিশুটির মামাদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে গণ্ডগোল রয়েছে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া খেলাধুলা নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো গণ্ডগোল ছিল কি না এসব বিষয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে এসএম মুন্না প্রিয়.কমকে জানান, তাদের বাড়িটি দখল নিতে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ নিয়ে সালাউদ্দিন, জহিরুল, কুলুমিয়াসহ ১০-১৫ জনের সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে তার ভাগনেকে হত্যা করা হতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে