ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ছাড়ল যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ২০ ১১:১৬:৩৪
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ছাড়ল যুক্তরাষ্ট্র

এ সময় মাইক পম্পেও কাউন্সিলকে মানবাধিকারের দুর্বল রক্ষক হিসেবে বর্ণনা করেন। আর নিকি হ্যালি দাবি করেন, ‘আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। কারণ, কপট ও স্বার্থপরায়ণ সংস্থাটি মানবাধিকারকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এ ধরনের কোনো সংস্থার সঙ্গে আমরা অঙ্গীকার অনুযায়ী থাকতে পারি না।’

মূলত গত মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের ঘটনা তদন্তের এক দাবির পক্ষে ভোট দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিল।

অবশ্য গতবছরই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে ‘চরম ইসরাইলবিরোধী’ আখ্যা দিয়েছিলেন নিকি হ্যালি। সে সময়ে তিনি বলেছিলেন, সংস্থাটির সদস্যপদের বিষয়টি গভীরভাবে মূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিকি হ্যালির এই ঘোষণার পর অধিকারকর্মীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা সমুন্নত রাখার তৎপরতা ব্যাহত হতে পারে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তার মুখপাত্রের মাধ্যমে বিবৃতিতে বলেছেন, এই কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্রের থাকার বিষয়টিকে অধিকতর শ্রেয় মনে করেন তিনি।

নিকি হ্যালির এই ঘোষণার পরপরই জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রাদ আল-হুসেইন ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে ‘হতাশাজনক’ উল্লেখ করেন। তবে তিনি এতে অবাক হননি বলেও জানান।

জেইদ রাদ আল-হুসেইন বলেন, ‘বিশ্বের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যেভাবে মানবাধিকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাদের সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করা, মুখ ফিরিয়ে নেয়া নয়।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বে গণতন্ত্রের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও সমর্থন হ্রাস পাবে।

আর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

তবে ইসরাইল ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গঠিত হয়। জেনেভাভিত্তিক এই কাউন্সিলের লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে