ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সড়ক পথে যাওয়া যাবে শাহপরীর দ্বীপ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ০৯ ১৯:২১:১৩
সড়ক পথে যাওয়া যাবে শাহপরীর দ্বীপ

সূত্র জানায়, কক্সবাজার সড়ক বিভাগের অধীন টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১৩.৭০ কিলোমিটার। সড়কটির হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫.১৫ কিলোমিটার অংশ ২০১১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়। বর্তমানে ২ কিলোমিটার সড়কের কোনও অস্তিত্বই নেই। ফলে শাহপরীর দ্বীপের সঙ্গে টেকনাফের সড়ক যোগাযোগ বর্তমানে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধের পুনর্নির্মাণের কাজ চলছে। এরই মধ্যে বাঁধে মাটির কাজ শেষ হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ থেকে পর্যটকরা যাতে সড়ক পথেই শাহপরীর দ্বীপে যেতে পারে সেজন্য একটি প্রকল্প জমা দিয়েছে। টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়ক (জেড-১০৯৯) এর হাড়িয়াখালী-শাহপরীর দ্বীপ অংশ ‘পুনর্নির্মাণ, প্রশস্তকরণ এবং শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এ অর্থ জোগান দেওয়া হবে। প্রকল্পটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতর বাস্তবায়ন করবে। গত মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পের অনুমোদন করা হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে শাহপরীর দ্বীপে প্রায় ৪০ হাজার লোক বাস করে। সড়কটি দিয়ে শাহপরীর দ্বীপে উৎপাদিত সামুদ্রিক মাছ, লবণ এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়।

সূত্র আরও জানায়, প্রকল্পটির ওপর চলতি বছরের ৫ আগস্ট প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রফরমা) পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ডিপিপিতে প্রস্তাবিত প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৬৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ঠিক করা হয়।

প্রসঙ্গত, পিইসি সভায় উপস্থাপিত পিপি’র প্রাক্কলিত ব্যয় (সড়ক ও জনপথ) সওজ’র রেট সিডিউল ২০১৫ অনুযায়ী প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে প্রকল্পটি ২০১৮ সালে অনুমোদন হওয়ায় ডিপিপিতে ব্যয় কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপের সড়কটি প্রশস্ত করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তঃবাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশও হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবানা থেকে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে ১.৩২ হেক্টর। আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে আড়াই হাজার বর্গফুট আয়তনের। পরিদর্শন বাংলো নির্মিত হবে ৩ হাজার বর্গফুট আয়তনের। পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে একটি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাঁধটি ছিল পুরনো। পর্যটকদের আগ্রহী করতে এবং সেখানকার বাণিজ্য সম্প্রসারণে এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশ উপকৃত হবে।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে