ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অপুকে নিয়ে কটাক্ষের পর এবার সোহেল রানার কন্ঠে নতুন সুর

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ ফেব্রুয়ারি ০৫ ১৬:৪৮:২৫
অপুকে নিয়ে কটাক্ষের পর এবার সোহেল রানার কন্ঠে নতুন সুর

লম্বা বিরতির পর আবারও টিভি নাটকে অভিনয় করলেন। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

বছরখানেক আগে এই ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছিলাম। রূপকথার গল্প নিয়ে নির্মিত এই ধারাবাহিকের কাহিনী গড়ে উঠেছে ঈশান বাংলার সুলতান আর্সনাল ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এতে সুলতান আর্সনালের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ ধরনের গল্পে এই প্রথম কাজ করেছি।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আপনাকে আর দেখা যায় না। অভিমান থেকেই কি সরে যাওয়া?

আমাদের দেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি মৃত। বছরে কয়টি ভালো ছবি নির্মাণ হচ্ছে, যা দেখে আমি কাজ করতে উৎসাহিত হবে? সুতরাং অভিমানের কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের পাশের দেশে একজন শিল্পীর বয়স হলে তার জন্য সে ঘরানার চরিত্র তৈরি করে অভিনয়ের চেষ্টা করানো হয়। আর আমাদের দেশে বয়স হলেই বাবা-চাচার চরিত্র! অমিতাভ বচ্চন কি সবসময় বাবা-চাচার চরিত্রে অভিনয় করেন? একজন শিল্পীকে ব্যবহারের জন্য যে মেধা বা প্রজ্ঞা থাকা দরকার, তা এখানকার অনেকেরই নেই।

চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির এমন পরিস্থিতির জন্য অনেকেই হল সংকটকে দায়ী করেন। এটি কতটুকু সত্য?

এ কথা পুরোপুরি সত্য নয়। ভালো চলচ্চিত্র যদি নির্মাণ করা হয় দর্শক হলে গিয়ে ছবি দেখবে। তাহলে দর্শক চাহিদার কথা চিন্তা করে হলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্রিদ্বতে সবার আগে চিন্তা থাকে কীভাবে ভালো ব্যবসা করা যায়। তাহলে মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ হবে কীভাবে? তাই অনেকে ঢালাওভাবে হল সংকটকে দায়ী করে আসলে নিজের সীমাবদ্ধতাকে লুকানোর চেষ্টা করে।

দীর্ঘদিন ধরে কোনো ধরনের পরিচালনা কিংবা প্রযোজনা করেননি…

আসলে পরিচালনা অথবা প্রযোজনা করার আর কোনো ইচ্ছা আমার নেই। দুটো ছবি পরিচালনার ইচ্ছে ছিল। যেহেতু আমি ‘মাসুদ রানা’ দিয়ে এসেছিলাম। ফলে ‘বিদায় রানা’ নামের একটি চলচ্চিত্র দিয়ে শেষ পরিচালনা করতে চাই। এ ছাড়া আমার আরও একটি বিষয় নিয়ে নির্মাণের ভাবনা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটিও করতে পারছি না।

অভিনয়শিল্পীদের অনেকেই রাজনীতিতে ঝুঁকছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

একজন মানুষের একাধিক গুণা থাকতে পারে। এ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে চেনা গণ্ডির বাইরে গিয়ে অন্য কাজটি সে কতটা সফলভাবে করতে পারে সেটি অবশ্যই বিবেচ্য বিষয়। অভিনয়শিল্পীর রাজনীতি করতে তো কোনো বাধা নেই। তবে সবার আগে রাজনীতি ব্যাপরাটি তো বুঝতে হবে। এর জন্য দরকার প্রজ্ঞা, মেধা, দেশ-বিদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সম্যক ধারণা। এলাম, দেখলাম আর রাজনীতিবিদ হয়ে গেলাম- বিষয়টা তো এমন নয়। আসলে দু-একজন বাদে শিল্পীরা রাজনীতিকে ছেলেখেলা বানিয়ে ফেলেছে। এদের বেশিরভাগই মূলত ফায়দা লুটতে চায়। আমার তো মনে হয়, এদের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কেই জানে না।

উল্লেখ্য শিল্পীদের রাজনীতিতে আসা নিয়ে নায়িকা অপু বিশ্বাসকে নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন সোলেন রানা।—সমকাল

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে