ঢাকা, বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

শফিক তুহিনের স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে যত কাণ্ড

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ০৬ ১৬:৩৮:০৯
শফিক তুহিনের স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে যত কাণ্ড

আসিফের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে শফিক তুহিন মানহানির মামলা করলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সংগীতাঙ্গনের নানা বিষয়। অনেকদিন ধরে শিল্পী, গীতিকার, সুরকাররা মেধাস্বত্ব নিয়ে সরব আছেন— তার যোগসূত্র আছে এ ঘটনায়।

১ জুন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সার্চলাইট নামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখানো হয়, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন।

পরদিন দুপুরে আসিফের বিরুদ্ধে সই জালিয়াতির অভিযোগ করে স্ট্যাটাস দেন শফিক তুহিন। সেখানে কপিরাইট সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্রও শেয়ার করেন।

আসিফকে উদ্দেশ্য করে তুহিন লেখেন, ‘এভাবে অনুমতিহীন ও স্বাক্ষরবিহীন অধিকার হরণ করে শুধু গীতিকার সুরকারদের অর্থ আত্মসাতই করেনি; জীবিত থাকতেই আমার মতো সব সৃষ্টিশীল মানুষদের মেধাস্বত্বকে করেছে ভীষণভাবে অপমান। এই যদি হয় স্বঘোষিত অডিও যুবরাজের অনৈতিক কর্মকাণ্ড তাহলে সত্যিকার অর্থে এদেশে সংগীতের ভবিষ্যত কোথায়!!? আর এরকম বঞ্চনার জন্যই একসময় শিল্পীদের নাম ওঠে দুঃস্থ শিল্পীর তালিকায়!!’

সেখানে গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন কমেন্ট করেন, ‘ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক। এভাবে গীতিকার-সুরকারকে ঠকিয়ে তিনি বড় বড় কথা বলেন!’

এ নিয়েই ক্ষেপে যান আসিফ। ওইদিন রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেন। টিভি চ্যানেলের অভিযোগের প্রতিবাদ করেন। সেখানে তুহিনের পাশাপাশি গায়ক প্রীতম আহমেদ ও গীতিকার জীবনের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও কথা বলেন।

আসিফ বলেন, ‘গানের আঙিনা সুন্দর মানুষদের জন্য। এখানে কোনো নর্দমার কীট রাখা যাবে না। সিটি করপোরেশন দিয়ে সেইসব কীট পরিষ্কার করা হবে। প্রীতম মিথ্যেবাদি, প্রতারক। সে দাবি করে চ্যানেল আইয়ের প্রযোজক সে। মিথ্যে কথা। মিথ্যে পরিচয় দিয়ে সে মানুষকে ঠকায়। আর শফিক তুহিন কৌশলী। আমার হাত দিয়ে তার উত্থান। আমার সঙ্গেই বেঈমানী করে বেড়াচ্ছে। কোনো প্রমাণ ছাড়াই আমাকে অভিযুক্ত করছে। এ ধরনের ক্ষতিকরদের থেকে সবার সাবধান থাকা উচিত। আর রবিউল ইসলাম জীবন এই সেদিন প্রথম রোজার দিনও আমার বাসায় ইফতার করে গেছে। সেই জীবন পল্টি নেয়। ও সবাইকে ম্যানেজ করতে করতে ব্যক্তিত্বহীন হয়ে গেছে। নোয়াখালীর কলঙ্ক জীবন।’

তিনজনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘প্রীতম, শফিক ও জীবনের সঙ্গে কোনো কোম্পানি কাজ করলে আমি তাদের সঙ্গে কোনো কাজ করব না।’

আসিফ বলেন, ‘আমি আট বছর গান থেকে দূরে ছিলাম। আবার ফিরে এসেছি। চুটিয়ে কাজ করছি। এটাই সবার মাথাব্যাথার কারণ। আমার প্রতি হিংসা থেকেই মিথ্যে তথ্য দিয়ে আমাকে ছোট করা হচ্ছে। এতদিন চুপ ছিলাম। কিন্তু এবার বাড়াবাড়িটা বেশি হচ্ছে। তাই মুখ খুলতে হলো।’

তুহিন, প্রীতম ও জীবনের সঙ্গে আসিফের সুসম্পর্কের কথা এতদিন সবাই জানত। গানের স্বত্ত্ব নিয়েও নতুন জটিলতা উন্মোচিত হলো এবার।

একই ভিডিওতে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও কয়েকজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে তাদের সমালোচনা করেন আসিফ।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে