ঢাকা, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

আসছে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জানুয়ারি ০১ ২০:৪৮:৫২
আসছে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল

এদিকে ইসির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সদ্যসমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে নবনির্বাচিত এমপিদের বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে নির্বাচন কমিশনে। রাতেই বিজি প্রেসে পাঠানোর লক্ষ্যে মঙ্গলবার এটি নিয়ে ইসিতে রীতিমতো তোড়জোর চলে। ছাপা সম্পন্ন হলে বুধবার গেজেট প্রকাশ করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হতে পারে।

সূত্রমতে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পরই, ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে তৎকালীন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ছয় ধাপে ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এবারও দেশের ৪৮৭টির বেশি উপজেলায় ছয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে হবে প্রায় ১০০ উপজেলার নির্বাচন। এ ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে চলতি মাসের শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এরপর পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে বাকি উপজেলায় নির্বাচন করা হবে।সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন আইনত নির্দলীয় হলেও আইন সংশোধনের ফলে এবার এ নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। এ কারণে রাজনৈতিক দলগুলোকে উপজেলা পরিষদের প্রার্থী মনোনয়নের কাজ সহসাই শুরু করতে হবে।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ জুলাই মাসে শেষ হচ্ছে ওই সব উপজেলার নির্বাচন ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাইয়ের পরে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে। আইন অনুযায়ী মেয়াদ পূর্তির আগের ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯ স্থানীয় সরকার (থানা পরিষদ ও থানা প্রশাসন পুনর্গঠন) অধ্যাদেশ ১৯৮২ বলে সর্বপ্রথম থানা পর্যায়ে থানা পরিষদ গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৩ সালে উক্ত অধ্যাদেশ সংশোধন করে থানা পরিষদের নতুন নামকরণ হয় উপজেলা পরিষদ। উক্ত সংশোধিত অধ্যাদেশটি স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনিক পুনর্গঠন) (বাতিল) অধ্যাদেশ ১৯৯১ দ্বারা বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ প্রণয়ন করে। কিন্তু উক্ত আইনের অধীনে উপজেলা পরিষদ পুনর্গঠনের জন্য কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে স্থানীয় সরকার সংস্থাকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) অধ্যাদেশ ২০০৮ জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশ দ্বারা ১৯৯৮ সালের উপজেলা পরিষদ আইন বাতিল করা হয় এবং উক্ত আইনে উপজেলা পরিষদকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল অত্র অধ্যাদেশে তার চেয়েও অধিক ক্ষমতা প্রদান করে কিছু বিধিবিধান সংযোজন করা হয়। এই অধ্যাদেশটিও ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ (বাতিল আইন পুনঃস্থাপন ও সংশোধন) আইন ২০০৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। এ আইনের দ্বারা উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর বিধিবিধান কিছু সংশোধনীসহ পুনর্বহাল করা হয়।

গেজেট প্রকাশে তোড়জোড়

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত বিজয়ী প্রার্থীদের গেজেট প্রকাশে তোড়জোড় শুরু করেছে কমিশন। আজকের মধ্যেই যাতে বিজয়ীদের নাম-ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশ করা সম্ভব হয় সেজন্য টানা কাজ চলে ইসিতে। রাতের মধ্যেই যাতে বিজয়ীদের নাম-ঠিকানা সরকারি মুদ্রণালয়ে পাঠানো সম্ভব হয় সেই চেষ্টা চলছে। বুধবার গেজেট প্রকাশ হবে বলে জানা যায়।

জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কত দিন পর গেজেট হবে, সেই বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে স্পিকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্য পদ খারিজ হবে।

এবিষয়ে ইসি সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের সব প্রস্ততি চলছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে। সব তৈরি করে প্রেসে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে। মঙ্গলবার সম্ভব না হলে বুধবার গেজেট হবে। গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে তা পাঠাবে ইসি সচিবালয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে