ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পাকিস্তানের শক্তিশালী পেস আক্রমণ নিয়ে আতঙ্কে দ. আফ্রিকা দেখেনিন স্কোয়াড

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ ডিসেম্বর ২৪ ১৮:৪৫:৪৭
পাকিস্তানের শক্তিশালী পেস আক্রমণ নিয়ে আতঙ্কে দ. আফ্রিকা দেখেনিন স্কোয়াড

ট্যুর ম্যাচের আগে সাক্ষাৎকারে আর্থার বলেছিলেন, ‘একটি বিষয় ভালমতোই জানি যে আমাদের সহজেই ২০ উইকেট নেয়ার ক্ষমতা আছে। কিন্তু আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো স্কোরবোর্ডে ৩৫০-৪০০ রান যোগ করা।’প্রায় একই কথা শোনা গেছে আর্থারের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ ওটিস গিবসনের কণ্ঠেও।

সিরিজের আগে পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার অনেকটাই ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা শুরু হয়েছিল। এখন টেস্টে ব্যাটসম্যানদের ভাল করার উপরই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকান কন্ডিশন যেখানে বরাবরই বোলারদের সহায়তা করে থাকে সেখানে এই বিষয়টি দুই দলের জন্যই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুই দলেরই বোলিং বিভাগ দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। যদিও ট্যুর ম্যাচে প্রত্যাশা মাফিক পারফরমেন্স অনেকেই করেননি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান ভারনন ফিলান্ডার ও পাকিস্তানী উঠতি তারকা মোহাম্মদ আব্বাসের ইনজুরিতে উভয় দলই কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছে। ফিলান্ডারের আঙ্গুলে চোট লেগেছে, আব্বাস কাঁধের ইনজুরিতে ভুগছেন। গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রণমূলক একাদশের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ে আব্বাস বোলিং করেননি।

কিন্তু টেস্ট দল থেকে একেবারে তাকে বাদ দেননি আর্থার। যদিও আব্বাসের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও মোহাম্মদ আমির, হাসান আলি ও শাহিন শাহ আফ্রিদীকে নিয়ে সাজানো পাকিস্তানী পেস আক্রমণ নিয়ে গর্ব করাই যায়। তাদের সাথে আছেন লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ। এই আক্রমণ নিয়ে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ সৃষ্টি করা সময়ের ব্যাপার।

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নেই ফাস্ট বোলার লুঙ্গি এনগিদি। দীর্ঘদিনের হাঁটুর ইনজুরিতে তিনি দলের বাইরে রয়েছেন। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, সাম্প্রতি টি-২০ টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞ ডেল স্টেইন আবারো ছন্দে ফিরেছেন। আর মাত্র একটি উইকেট পেলেই দেশের শীর্ষ উইকেট শিকারী হিসেবে নিজেকে আসীন করবেন স্টেইন। দলে আরো রয়েছেন কাগিসো রাবাদা। তৃতীয় পেসার হিসেবে ডুয়ানে অলিভারকে নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে স্বাগতিকরা। টি২০ লিগে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট দখল করেছেন।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজের দুটি ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানী ইনিংসে ধ্বস নেমেছিল। কিন্তু হারিস সোহেল, বাবর আজম, আজহার আলি ও আসাদ শফিক ওই একই সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ট্যুর ম্যাচে বেশিরভাগ পাকিস্তানী টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানই রান পেয়েছেন।

অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস ও উইকেটরক্ষট কুইন্টন ডি কক মোটামুটি ফর্মে রয়েছেন। কিন্তু থেনিস ডি ব্রুয়েন ও টেম্বা বাভুমা যথাক্রমে পিঠ ও হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে সম্প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজি ম্যাচগুলোতে খেলেননি।

দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াড : ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), ডিন এলগার, এইডেন মার্করাম, থেনিস ডি ব্রুয়েন, হাশিম আমলা, টেম্বা বাভুমা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), কেশাভ মাহারাজ, কাগিসো রাবাদা, ডেল স্টেইন, ডুয়ানে অলিভার।

পাকিস্তান স্কোয়াড : সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক/উইকেটরক্ষক), আসাদ শফিক, আজহার আলি, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফকর জামান, হারিস সোহেল, হাসান আলি, ইমাম-উল-হক, মোহাম্মদ আব্বাস, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাদাব খান, শাহিন আফ্রিদী, শন মাসুদ, ইয়াসির শাহ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে