ঢাকা, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এ কি শুনলাম আজ আপনার মুখে

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২০ ১১:৪১:১৯
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এ কি শুনলাম আজ আপনার মুখে

কেঁদেছি। বারবার। শুরু থেকে শেষ। এখনও চোখে জল নিয়েই লিখছি।

কন্যার ঠোঁট কতবার কেঁপেছে বাবার মৃত্যুর গল্প বলতে? পরিবার হারানোর দুঃসহ স্মৃতি টেনে সামনে আনতে? এ অঙ্কের হিসেব মিলবে না।

শুধু অগনিত কষ্টের নীল স্রোত এসে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে বারবার।

একটাই প্রশ্ন করেছি নিজেকে? কত অল্পতে হার মানি। কত অল্পতেই মনে করি কত কি যে হারালাম জীবনে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এ কি শুনলাম আজ আপনার মুখে!

অজানা এই বইয়ের প্রতিটি পাতায় সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিলেন এত বেদনা?

আমরা দূর থেকে কতটুকুই বা জানবো? আজ অনেক কাছে এসে গেলাম। রূপালী পর্দার মায়া বুকে বিঁধে দিলো অনন্ত কষ্ট। রক্তের বাঁধনে না হোক সবুজ এ দেশ আর ৩২ নম্বরে ঝরা রক্তের প্রতিটি বিন্দুর সাথে কোটি মানুষের এ টান কি আত্মীয়তা না?

মন খারাপের এক দেশে ঘুরে এলাম। দুঃসহ অপেক্ষার এক নগরীতে পা রাখলাম। আর কালো মেঘে ঢাকা এক বাড়ীর বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁদলাম মন মেলে।

আমি আজ থেকে অপ্রাপ্তি ভয় পাই না। ভয় পাই না অপেক্ষার প্রহর। কারণ একটাই, আমাদের রাষ্ট্রনায়ক পেরেছেন, আমরা কেন নয়?

আমাদের ধমনীতেও তো বইছে ৭১ এর রক্ত আর ৭৫ এর অশ্রু।

রাজনীতির সাথে মেলাতে চাইবেন কেউ কেউ। কল্পকাহিনী হলে সে চিন্তাটা চেখে দেখতাম। তবে, জীবনের গহীনের এ সত্যকে কিভাবে অনুভব ছাড়া আর অন্য কিছুর সাথে মেলাবো?

পারছি না। কোনো চলচ্ছিত্রের সাথে মেলাতে পারছি না। বর্তমানের প্রজন্ম নাকি অনুভূতিহীন? তবে, ‘হাসিনা’ কেন হাউসফুল? কেন হল থেকে বের হওয়া প্রতিটি মানুষের চোখ লাল? জবাব মেলে না।জবাব নেই।

ফুরিয়ে গেছে সেলুলয়েডের ফিতা। ফুরিয়ে যাচ্ছে সময়। ফুরিয়ে যেতে দিতে চাই না, মাতৃসম শেখ হাসিনাকে।

এ দেশের যে এমন মহিয়সীকে যে বড় দরকার!

এক সমুদ্র কাঁদতে পারি না কেন? এক পর্বত হাহাকার নেই কেন বুকে? ফুরিয়ে যাচ্ছে কেন সব?

লেখক: সিনিয়র সহকারী সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

সুত্রঃ পরিবর্তন

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে