ঢাকা, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কলেজে ভর্তির আবেদনে থাকছে না এই পদ্ধতি, দুশ্চিন্তায় হাজারও শিক্ষার্থীরা

শিক্ষা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুলাই ২০ ২০:৪৮:২২
কলেজে ভর্তির আবেদনে থাকছে না এই পদ্ধতি, দুশ্চিন্তায় হাজারও শিক্ষার্থীরা

শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৯ আগস্ট থেকে কেবলমাত্র অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করবে। বিগত বছরগুলোর মতো এবার এসএমএসে থাকছে না আবেদনের সুযোগ। যা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে। সেই সঙ্গে ভর্তির বাড়তি ফি অতিরিক্ত বোঝা, বলছেন অভিভাবকরা।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই এসএমএস পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম বাদ দেয়া হয়েছে। আর শিক্ষাবিদরা বলছেন, অনলাইনেই যদি ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে তবে, এত সময়ক্ষেপণের প্রয়োজন ছিলো না।

রাজধানীর প্রথম সারির একটি স্কুল থেকে এবার এসএসসি পাস করেছে রাফি। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির কারণে ফল প্রকাশের দেড় মাসের বেশি সময় পার হলেও এখনো কলেজে ভর্তি হওয়া হয়নি তার। তবে, আগামী ৯ আগস্ট থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে রাফির মত প্রায় ১৭ লাখ শিক্ষার্থীর অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। কিন্তু, এবার ভর্তি কার্যক্রমে কিছু পরিবর্তনসহ রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়ানোই আবারও দুশ্চিন্তায় রাফিসহ অনেক শিক্ষার্থী।

রাফি বলছে, এবার অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এজন্য একটু চিন্তিত।

অভিভাবকরাও বলছেন, করোনাকালে এমনিতেই ফল প্রকাশ থেকে শুরু করে ভর্তি কার্যক্রম সব কিছুতেই পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তার ওপর ভর্তি কার্যক্রমে নতুন নতুন পরিবর্তন ভোগান্তিতে ফেলবে শিক্ষার্থীদের।

এক অভিভাবকরা জানান, ভর্তি হতে যদি রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়ানো হয়; তাহলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য অনেক কষ্ট হবে।

আর শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রান্তিক পর্যায়ের যেসব শিক্ষার্থীর স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ বা সামর্থ্য নেই তাদেরকে পড়তে হতে পারে ভোগান্তিতে। এছাড়া, করোনাকালে কলেজ ভর্তিতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ফি কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।

ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, এখন যেহেতু অনলাইনে ভর্তি জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়া যায়। সশরীরে কোন জায়গায় যেতে হয় না। আমার মনে হয়, আমরা নির্ভয়ে পাস করার পরপরই এই আয়োজন করতে পারতাম।

নানা দিক বিবেচনায় নিয়েই এবার একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম এসএমএসের মাধ্যমে না করে অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক। এছাড়াও রেজিস্ট্রেশন ফিও বাড়ানো হয়েছে যৎসামান্য।

তিনি বলেন, যে কেউই শিক্ষার্থীদের নামে এসএমএস করতে পারবেন। সেজন্য এসএমএস কার্যক্রমটা বন্ধ করা হয়েছে।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে কমপক্ষে ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পছন্দক্রম অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম আগামী ৯ আগস্ট থেকে শুরু করে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, ভর্তি কার্যক্রম শেষে কবে থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে সে বিষয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে