ঢাকা, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

এই রকম একটা অটো চয়েজ লইয়া আমরা কি করিব

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২২ অক্টোবর ১৮ ২০:৪৭:৫০
এই রকম একটা অটো চয়েজ লইয়া আমরা কি করিব

‘বোলিংয়ে ধারাবাহিক হতে হবে, গতির দিকে নজর দিতে হবে, সুইংয়ের দিকে নজর দিতে হবে, নিজের অ্যাকচুয়াল স্কিলের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। অথচ ওরা ম্যাচেই পরে আছে। ওদেরকে শিখতে হবে প্রতিনিয়ত। বসে থাকলে হবে না।’

মোস্তাফিজের কাটার এখন আর দুর্বোধ্য নয়, উল্টো খরুচে। তার স্লোয়ার পড়তে পারে সবাই। তার বোলিং কোনো গোলকধাঁধা নয়, একেবারেই সাদামাটা। মোস্তাফিজ ফর্মে নেই। ভাবনার বিষয় হচ্ছে মোস্তাফিজ এখন একাদশেই থাকেন না। নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে তাকে ১৫ জনের দলেও রাখেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। তাইতো চলমান বিশ্বকাপে ফর্মের সঙ্গে দলে ফেরার লড়াইও মোস্তাফিজের।

কোচ মাহবুব আলী শেখার তাড়ণার অভাব অনুভব করছেন। সঙ্গে যোগ করলেন, পেশাদার ক্রিকেটার মুখে বললেও ভেতরে সেই তেজ নেই, ‘আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কি, আমরা যতই পেশাদার বলি তাদের ভেতর সেই অ্যাটিচিউড নেই। সহজেই পেয়ে যেতে চায় আর সবকিছু ফ্রি পেতে চায়। পয়সা দিয়ে কোনো কিছু রাখতে চায় না। জাতীয় দলে দেখেন তামিমরা-সাকিবরা তাদের ব্যাক্তিগত ট্রেনার আছে, তারা বাইরে যাচ্ছে ট্রেন করতেছে। আমাদের দলের ভেতরে এই ঐতিহ্য এখনো গড়ে ওঠে নাই। এটা অচিরেই গড়ে ওঠা উচিৎ।’

কোচ মনে করেন, ব্যক্তিগত উন্নতি এবং নিজেকে ‘আউট অব দ্য বক্স’-এ নিয়ে যেতে নিজের মতো করেই পরিকল্পনা করতে হবে, ‘তারাতো অনেক টাকা পাচ্ছে। তারা কেনো খরচ করছে না! নিজস্ব একটা ট্রেনার থাকবে, বোলিং কোচ থাকবে। ভালো পরামর্শক থাকবে, ফিজিও থাকবে। থাকাটা খুবই জরুরি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটারদের।’

ডেথ ওভারে বাংলাদেশি বোলারদের দুর্দশা অনেকটা চিরন্তন। মোস্তাফিজের সাম্প্রতিক সময়ে ডেথ ওভারের পারফরম্যান্স দেখলে সে চিত্র অনেকটাই ফুটে উঠবে। চলতি বছরে ডেথ ওভারে ৯ ইনিংস বোলিং করে ওভারপ্রতি ১০.৯১ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। এ সময়ে ডেথ ওভারে তিনি উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৩টি। একে শুধু বিবর্ণ বলাও ভুল হবে, স্রেফ হতশ্রী।

বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ড। এর আগে ওটিস গিবসন কাজ করেছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিলেন কোর্টনি ওয়ালশ। তাদের থেকে মোস্তাফিজ শিখতে পারছেন কিনা সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে মাহবুব আলী সেই সংশয় দূর করে দিলেন, ‘যখন আপনার চাহিদা থাকবে, শিখতে চান তখন কোচ শেখাতে বাধ্য থাকবে। তাদের বিশ্ব ক্রিকেটে অনেক অভিজ্ঞতা, একেকজন অনেক উইকেটের মালিক। অন্তত ১১টা দেশে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’

ভাষাগত জটিলতায় যোগাযোগে দূরত্ব তৈরি হয় এমন অনেক কিছুই শোনা যায়। সেজন্য স্থানীয় একজন কোচ দলের সঙ্গে রাখার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করছেন তাসকিনের গুরু। সেটা শুধু পেস বোলিংয়ের জন্য নয়। প্রতিটি বিভাগেই স্থানীয় কোচ রাখার পরামর্শ তার, ‘একজন কেন? প্রত্যেক বিভাগে স্থানীয় কোচদের আপগ্রেড করা উচিৎ। এটা খুবই জরুরি আমাদের জন্য। কারণ, ব্যাকআপে কাজ আমরাই করি। দিনশেষে দেখেন আমরাই কাজ করছি। আমাদের যদি আরও ভালোভাবে গাইড করা হয় তাহলে (ভালো হবে)। আমরাতো দেশেই থাকি দেশের কাজই করতেছি। এটা হলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়।’

মোস্তাফিজ আর দলের অটো চয়েজ নন। তাইতো তাকে বাদ দিতেও দ্বিধা করেন না নীতিনির্ধারকরা। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ যেমন বলেছিলেন, ‘এটা খুব উদ্বেগজনক যে, গত ১৫-১৬ ম‍্যাচে মোস্তাফিজ সেভাবে উইকেট পাচ্ছে না, ইকোনমি রেটও ভালো না। তবে অটো চয়েজ বলে কিছু নেই।’

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বড় দুর্ভাবনার নামও এখন বাঁহাতি এই পেসার।

তবে তার ওপর আস্থা হারাতে চান না মাহবুব আলী, ‘এটা সত্য মোস্তাফিজের উন্নতির ছাপ দেখতে পাচ্ছি না। তবে ও যেহেতু টি-টোয়েন্টির ভালো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, ওর কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার আছে।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে