ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ঢাকা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলামের ভোট বর্জন

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ ডিসেম্বর ৩০ ১৪:১৫:০৯
ঢাকা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলামের ভোট বর্জন

রোববার দুপুর ১২টায় নবাবগঞ্জের কামারখোলায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে সালমা ইসলামের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নুরুল ইসলাম বলেন, আজ ৩০ ডিসেম্বর, বিজয়ের মাস। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির লোক। আমার প্রার্থী সালমা ইসলাম এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র হলেও তিনিও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির লোক।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা-১ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সালমান এফ রহমান। এ আসনে নির্বাচনী প্রচারে আমার প্রার্থী কখনই সমান সুযোগ পায়নি। নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নিজস্ব বাহিনী দ্বারা আমার প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ কর্মীদের ওপর হামলা এবং তাদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট অব্যাহতভাবে চালিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা নির্বাচনী মাঠে ছিলাম। কিন্তু গত তিন দিন ধরে সেই পরিস্থিতি অসহনীয় ও অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে।

নুরুল ইসলাম বলেন, আজ নির্বাচনের দিনও তার প্রভাব বিস্তার দেখা গেছে। এ আসনে (নবাবগঞ্জ-দোহার) ১৭৮ কেন্দ্রের মধ্যে ১৫০ কেন্দ্রেই মটরগাড়ি প্রতীকের কোনো এজেন্ট ঢুকতে দেয়া হয়নি। বাকি কেন্দ্রগুলোতে যেসব এজেন্ট যেতে পেরেছিলেন, তাদের বেলা ১১টার মধ্যেই জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে এজেন্টবিহীন মটরগাড়ি প্রতীকের নির্বাচন অব্যাহত রাখা কীভাবে সম্ভব?

তিনি বলেন, যেহেতু পরিবেশ অনুকূলে নেই, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই, এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারছে না এবং ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছে না-তাই এ নির্বাচনে থাকা না থাকা সমান কথা।

নুরুল ইসলাম বলেন, আমি জানি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ভালো জানেন। আমিও সবসময় তার অবস্থান সম্মানের সঙ্গে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সেই সম্মান এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির প্রতি আমার অকুণ্ঠ সমর্থন আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

‌‌‘কিন্তু এ পরিস্থিতিতে আমার মটরগাড়ি প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আর নির্বাচন চালিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই চলমান এ নির্বাচন থেকে আমি আমার প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম বলেন, আমার প্রার্থী স্বতন্ত্র। শুনেছি- বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট আমার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। এ ধরনের সমর্থন যেকোনো প্রার্থীর অবস্থান শক্তিশালী করে। কিন্তু আমি কারও সমর্থন চাইতে যাইনি। কারও সমর্থনেরও প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারণ আমার প্রার্থীর এলাকায় নাম, সম্মান, উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা সবদিক থেকেই ভালো অবস্থানে রয়েছে। তা ছাড়া যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তাদের সমর্থন আমার প্রার্থী কেন নিতে যাবে?

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে নুরুল ইসলাম বলেন, আমি এ সংবাদ সম্মেলনে যে তথ্য উপস্থাপন করলাম, আপনাদের গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রতি আহ্বান করছি-আপনারা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যান, পর্যবেক্ষণ করুন। আমার এ তথ্য উপস্থাপনের সঙ্গে বাস্তবতার মিল আছে কিনা-এটি আপনাদের বিবেকের ওপরই ছেড়ে দিলাম।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) আবদুল ওয়াদুদ প্রমুখ।সুত্রঃ যুগান্তর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে